বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উঁচুতে পাহাড়ের বুকে অবস্থিত একটি নতুন পর্যটন স্থান। এখানে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল পাহাড় আর মেঘের খেলা উপভোগ করা। এখানে আকাশ-মেঘ ভ্রমণপিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

প্রকৃতি এই এলাকাটিকে সাজিয়েছে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে। এখানে ইচ্ছে করলেই ছোঁয়া যায় মেঘ, আকাশকেও মনে হয় বেশ কাছে। মাতামুহুরী নদীর সুন্দর ভিউ দেখা যায় এখান থেকে। রাতে শহরের আলোতে যেন সৌন্দর্য হয় আরও বৈচিত্র্যময়।

রাতভর শোনা যায় শিশির পতনের শব্দ। বর্তমানে বাংলাদেশের পর্যটক খাতে মিরিঞ্জা দারুন এক আকর্ষণের নাম সাজেকের মতই দিনে দিনে এর আকর্ষণ বেড়েই চলেছে।

মিরিঞ্জা পাহাড়ের রিসোর্ট ও কটেজ-

মিরিঞ্জা পাহাড়ে ৪০টিরও বেশি জুম ঘর ও রিসোর্ট রয়েছে। যেহেতু এখন এই জায়গাটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে, দিন দিন জুম ঘর স্টাইলের রিসোর্টের সংখ্যা বেড়ে চলছে। প্রতিটি জুম ঘরের জন্য ভাড়া ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা। বর্তমানে এটাচ বাথরুম ও ব্যালকনি সহ কিছু গুছানো ভালো রিসোর্ট তৈরি হয়েছে, যে গুলোতে থাকতে খরচ হবে ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকা। কাপল রুম যেমন আছে, ৪-১০ জন একসাথে থাকার জুম ঘরও পাবেন। মিরিঞ্জা পাহাড়ের জনপ্রিয় রিসোর্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • আগারং রিসোর্ট
  • মিরিঞ্জা হ্যাভেন রিসোর্ট
  • মারাইংছা হিল রিসোর্টর
  • রয়েল হিল রিসোর্ট
  • জঙ্গল বিলাস রিসোর্ট
  • মিরিঞ্জা হাফং রিসোর্ট
  • লামা হিল স্টেশন
  • মিরিঞ্জা ট্রেইলস
  • চুংদার বক
  • মিরিঞ্জা ইকো রিসোর্ট

আশেপাশের দর্শনীয় স্থান

মিরিঞ্জা বাজারের কাছেই আছে মাতামুহুরী নদী,সাদা পাহাড়।এছাড়াও পাহাড়ের উপরে বিভিন্ন ভিউ পয়েন্ট আছে।মিরিঞ্জা আগারং রিসোর্ট এর পাশেই আছে মায়াবী এক ঝর্না ,যা বর্ষাকালে দেখা যায়। আলিকদমে রয়েছে মারাইংতং পাহাড় ও আলীর গুহা। যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ডিম পাহাড় হয়ে বান্দরবান যাবার। এছাড়া মিরিঞ্জা ভ্যালি থেকে কক্সবাজার খুব কাছেই। মিরিঞ্জা ভ্যালি ভ্রমণের যুক্ত করতে পারেন কক্সবাজার ভ্রমণকেও।

আরো ছবি দেখুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *